খৈনি খেলে কি হয়? খৈনি খেলে কি ক্ষতি হয়? বিশ্বর ২৮.৬ শতাংশ মানুষ সিগারেট, খৈনি এবং অন্যান্য নেশা জাতীয় খাবার খায়।
২০২১ সালের মতে ভারতের ১০ লক্ষ মানুষ মারা গেছে এই নেশা জাতীয় খাবার কারণে।
আমি আজকের লেখাটিতে আপনাদেরকে জানাবো যে খৈনি খেলে শরীরের মধ্যে কি ক্ষতি হয়? আশা করি লেখাটা সম্পূর্ণ পড়বেন।
খৈনি খেলে কি হয়? এই খৈনি খেলে কি ক্ষতি হয়?
আপনাদের মধ্যে কারো কারো আবার মনে প্রশ্ন জাগে খৈনি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কী কী আছে? মনে রাখবেন খৈনির উপকারিতা তো একদমই নাই কিন্তু অপকারিতা অনেক রয়েছে। এই লেখাটিতে আমরা বিস্তারিত ভাবে জানবো –
একজন মানুষ যদি খৈনি খায় তবে এতে মুখের ক্যান্সার হতে পারে। এটি মুখে সাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংগে হতে পারে।
খৈনি খাওয়ার ফলে একজন মানুষের দাতে এবং দাতের মাড়ির মধ্যে ক্ষতি হতে পারে। এতে দাত তারা তারি পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
খৈনির মধ্যে নিকোটিনের মতো নেশা জাতীয় পদার্থ রয়েছে। যা মানুসেক অতি সহজেই আসক্তি করে ফেলে। ফলে এই খৈনি না খেলে মানুষ অসস্তি মনে করে এবং লাহে লাহে তার অভ্যাসে পরিণত হয়।
নিকোটিন রক্তের চাপ বাড়িয়ে দেয় ফলে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদী খৈনি ব্যবহারের ফলে ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন ব্রঙ্কাইটিস বা এমফিসেমা।
নিয়মিত খৈনি খাবার ফলে মানুষ এর ফুসফুসের সমস্যার দেখা দিতে পারে।
খৈনির প্রভাবে পুরুষদের ক্ষেত্রে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অনেক দিন খৈনি খাওয়ার ফলে পুরুষের ক্ষেত্রে তাদের পুরুষাঙ্গর সমস্যা হতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে তারা সন্তান হীনতায় ভুকতে পারে।
খৈনি কেন ক্ষতিকর?
খৈনির মধ্যে নিকোটিন এবং তামাক থাকে যা একদম মুস্তিস্কে প্রভাব ফেলে। যা কিছুসময়ের জন্য আপনাকে শান্তি দেয় এবং শরীরকে আসক্তি করতে বাধ্য করে।
ফলে খৈনি আমরা নিয়মিত খাওয়া আরম্ভ করি। তখন এই নিকোটিন আমাদের শরীরে বিভিন্ন ক্ষতি সাধন করে।
লাহে লাহে এই ক্ষতি আমাদের শরীরে একটা বড় বেমারের সৃষ্টি করে।
যার ফলে অনেক শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে।
তো বন্ধুরা আমরা এই খৈনি খাওয়া থেকে বিরত থাকি এবং আমাদের শরীর কে সুস্থ রাখি।