ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম। একজন মানুষের শরীরে অনেক প্রয়োজন রয়েছে ভিটামিন ডি র। যেমন – হাড্ডি সুস্থ এবং মজবুত রাখা।
ক্যালসিয়াম শরীরে শোষণ করতে ভিটামিন অনেক সাহায্য করে।
শরীরের Immune System ঠিক রাখার জন্য সাহায্য করে। শরীরের মাংস পেশী মজবুত রাখতে সাহায্য করে। Heart এর রোগ হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখে এবং হার্টের রোগীর জন্য খুবই উপকারী।
তো আজকের এই লেখাটিতে আমরা জানবো ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম।
ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম।
আমাদের শরীরের জন্য ভিটামিন ডি প্রয়োজনীয় একটা পুষ্টি। নিচে কয়েক ধরনের ফলের বিষয়ে দেওয়া হল, যা ভিটামিন ডি যুক্ত ফল।
অ্যাভোকাডো: এটি অনেক উপকারী একটা ফল কিন্তু এটা অন্য ফলের মতো সুস্বাদু ফল নয়।
এই ফল টার মধ্যে অনেক টা উপকারী পুষ্টি রয়েছে, যেমন স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার এবং ভিটামিন ডি।
যদিও এই ফলটার মধ্যে অন্যান্য পুষ্টির তুলনায় ভিটামিন ডি টা কম আছে। তবে এটাকে এক পুষ্টিকর ফল হিচাবে দরতে পারেন।
কারা এই ফলটা না খাওয়াই ভালো। যেমন –
- বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েরা।
- অন্ত্রের সমস্যা রোগীদের।
- অ্যাভোকাডোতে থাকা যৌগের প্রতি মানুষের অ্যালার্জি রয়েছে।
- যাদের লিভারের সমস্যা আছে।
- স্থুল রোগী, বা যারা ওজন কমাতে চান।
কিউই: এই ফলটির মধ্যে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং ফাইবার সহ প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরপুর।
এই ফলটাতে অনেক ধরনের পুষ্টির সাথে অল্প পরিমাণে ভিটামিন ডিও রয়েছে।
যিহেতু ফলটার ভিতরে ভিটামিন ডির সাথে অনেক ধরনের পুষ্টি পাওয়া যায়। তাই এই ফলটাও আপনার খাওয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরী।
- যাদের এই কিউই ফল টা খাওয়ার ৩০ মিনিটের ভিতরে কোনো ধরনের অসুবিধার সন্মুখিন হতে হয়। তবে আপনাদের এই কিউই ফল খাওয়া বন্ধ করাটাই ভালো।
কমলালেবু: কমলালেবু হল ভিটামিন সির জন্য খুবই একটা পরিচিত ফল। কিন্তু এই ফলটার ভিতরে অল্প পরিমাণে ভিটামিন ডিও পাওয়া যায়।
জুস, স্মুদি বা ফলের সালাদ হিচাবে এই ফলটা খাওয়া যেতে পারে।
- Gastroesophageal reflux disease এর মধ্যে মধ্যে কোমলালেবু না খাওয়া টাই ভালো।
Vitamin D যুক্ত ফলের নাম।
কলা: কলা হল ভিটামিন ডি পাওয়া আরেকটি চমৎকার ফল। এই ফলটার ভিতরে ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
এই ম্যাগনেসিয়াম শরীরের ভিটামিন ডি উৎপাদন করাত সহায় করে।
প্রতিদিন এক থেকে দুইটা পর্যন্ত কলা খাওয়ার জন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকে।
- কলা ফলটা সবাই খেতে পারে এবং খুবই কম এটার সাইড এফেক্ট রয়েছে। তবুও যদি একজন মানুষ কলা খেলে তার অসুবিধা হয়। তাহলে না খাওয়া টাই ভালো।
ডুমুর: ডুমুর, বা হিন্দিতে অঞ্জির বা ইংরাজিতে ফিগস বলে। এটি ভিটামিন ডি, সি, এ এবং বি যুক্ত ফলগুলির মধ্যে একটি সুপরিচিত ফল।
এটি ক্যালসিয়াম, ফসফরাসের একটি প্রাকৃতিক উৎস, ফসফরিক অ্যাসিড, এবং প্রোটিন। ডুমুর সাধারণত শুকনো ফল হিসেবে খাওয়া হয়।
- এটা খাওয়ার আগে একজন ভালো ডক্টরের পরামর্শ নেওয়া টা জরুরী।
পেঁপে: ফলটা ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল। যদিও অল্প পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছ কিন্তু অন্যান্য পুষ্টির পরিমান অনেক বেছি।
- প্যাপেইন নামক একটি এনজাইম রয়েছে যা দুধ এবং দুধের প্রোটিনের হজমে বাধা দেয়। তাই পেঁপে খাওয়ার ঠিক আগে বা পরে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো।
- গর্ভবতী মহিলার জন্য পেঁপে এড়ানো উচিত যদি পেঁপে সবুজ বা আধা-পাকা হয়।
ভিটামিন ডি যুক্ত বাদাম।
নিচে কয়েকটা ভিটামিন ডি যুক্ত বাদাম দেওয়া হল ।
কাজু – কাজু বাদামে ভিটামিন ডি মাত্রা অনেক বেছি । ভিটামিন ডি ছাড়াও বাদামে ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ফসফরাস রয়েছে।
হেজেলনাট – ভিটামিন ডি থাকা বাদাম হল হ্যাজেলনাট এবং একটি সুস্বাদু প্রাকৃতিক স্বাদের জন্য পরিচিত। সাথে এই বাদামের মধ্যে অন্যান্য পুষ্টি পাওয়া যায়। যেমন- গ্রহণ করেন তা হল ভিটামিন বি 6, ফোলেট, ফসফরাস, পটাসিয়াম এবং জিঙ্ক।
কাঠবাদাম – কাঠবাদামও ভিটামিন ডি-এর একটি ভালো উৎস। আপনি যদি সাধারণ কাঠবাদাম খেতে না চান, তাহলে কাঠবাদাম দুধ আপনার প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি-এর একটি দুর্দান্ত বিকল্প।
ভিটামিন ডি যুক্ত মাছ।
নিচে কয়েকটা ভিটামিন ডি যুক্ত মাছ দেওয়া হল ।
সালমন মাছ – এটি একটি চর্বিযুক্ত মাছ এবং ভিটামিন ডি-এর একটি চমৎকার উৎস। USDA এর মতে, 100 গ্রাম আটলান্টিক স্যামনের একক পরিবেশনে 526 IU ভিটামিন ডি থাকে।
সোর্ডফিশ মাছ – এই মাছ টাতে খুবই পরিমানে ভালো ভিটামিন পাওয়া যায়। সাথে ভিটামিন k এবং নিয়াচিন ও পাওয়া যায়। USDA এর মতে 100 গ্রাম পরিবেশন করে যাতে 666 IU ভিটামিন ডি থাকে।
ট্রাউট মাছ – ভিটামিন ডি-এর জন্য আপনার দৈনিক চাহিদার 100 শতাংশ। এটি বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিনে ভরপুর।
টুনা মাছ – USDA এর মতে, প্রতি 100-গ্রাম পরিবেশনে ভিটামিন ডির পরিমাণ হল 82 IU ।
